আউটপুট ইউনিট : Outout Unit - যে সমস্ত ডিভাইসের সাহায্যে কমিপউটারকে কার্য্য সমপাদনের পর ফলাফল প্রদর্শনের আদেশ দেওয়া হয় তাকে আউটপুট ইউনিট বলে । যেমন - মনিটর , প্রিন্টার, সাউন্ড বক্স ইত্যাদি।
Monitor : মনিটর :- ইহা একটি আউটপুট ইউনিট অর্থাৎ এর মার্ধ্যমে সিপি ইউ এর কার্য্য সমপাদনের ফলাফল প্রকাশ পায়। মনিটর দুই ধরনের - ১) সাদা কালো এরং ২) রংগীন । মাদারবোর্ডের সংগে ভিডিও কার্ড /এজিপি কার্ড সংযোগ করে ডাটা কেবল এর মাধ্যমে মনিটরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। মনিটরে ছবির গুন/মান নির্ভর করে এর রিজোলিউশনের উপরে - রিজোলিউশনের একক হলো পিক্সেল । বর্তমানে বাজারে ২০০০/১২০০ পিক্সেল রিজোলিউশন সম্পন্ন মনিটর পাওয়া যায় । তা ছাড়াও ভিডিও কার্ড এবং এজিপি কার্ডের উপরেও রিজোলিউশন নির্ভর করে। থ্রি ডাইমেনশনাল ছরি অথবা ভিডিও ফিল্ম দেখতে হলে উন্নত মানের এজিপি কার্ড লাগে। বাংলদেশে ফিলিপস্ , হুন্দাই , স্যামসুং , এলজি প্রভৃতি কোম্পানীর মনিটর পাওয়া যায়।
Printer : প্রিন্টার :- ইহাও একটি আউটপুট ইউনিট - অর্থাৎ এর মার্ধ্যমে সি পি ইউ এর কার্য্য সমপাদনের ফলাফল কাগজে লিখে রাখা যায়। অনেক ধরনের প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায় - তার মধ্যে ডট প্রিন্টার , ইন্কজেট প্রিন্টার এরং লেজার প্রিন্টারই প্রধান। এইচ, পি, ক্যানন, এপসন প্রভৃতি বিখ্যাত প্রিন্টার প্রস্তুতকারী কোম্পানী
Sound Box : সাউন্ড বক্স - বর্তমানে মাল্টিমিডিয়ার যুগে সাউন্ড বক্স কমপিউটারের অপরিহার্য্য অংগ। কারন গান শুনতে, সিনেমা দেখতে, গেম খেলতে, ভয়েস চ্যাট করতে সর্বত্রই এর প্রয়োজন। সাউন্ড কার্ড হার্ড ডিস্ক বা সিডি থেকে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল গিনালকে এনালগ সিগনালে পরিনত করে সাউন্ড বক্সে পাঠালে আমরা শব্দ শুনতে পাই। বর্তমানে ষ্টেরিও , থ্রিডি ও সারাউন্ড সাউন্ড শোনার জন্য এক থেকে ৬ চ্যানেলের সাউন্ড কার্ড ও বক্স পাওয়া যায়।
Printer : প্রিন্টার :- ইহাও একটি আউটপুট ইউনিট - অর্থাৎ এর মার্ধ্যমে সি পি ইউ এর কার্য্য সমপাদনের ফলাফল কাগজে লিখে রাখা যায়। অনেক ধরনের প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায় - তার মধ্যে ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার , ইন্কজেট প্রিন্টার এরং লেজার প্রিন্টারই প্রধান। এইচ, পি, ক্যানন, এপসন প্রভৃতি বিখ্যাত প্রিন্টার প্রস্তুতকারী কোম্পানী
প্রিন্টার হচেছ সব চেয়ে বেশী ব্যবহৃত আউটপুট ডিভাইস। ইহা দ্বারা কমিপউটারের আউটপুটকে স্থায়ী ভাবে সংরক্ষন করা হয়। প্রিন্টারের দ্বারা প্রতি মিনিটে ১৫০ থেকে ২০০০ লাইন প্রিন্ট করা যায় এবং প্রত্যেক লাইন ১৫০ অক্ষর পর্য্যন্ত থাকতে পারে এই ভাবে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫০০০ অক্ষর প্রিন্ট করা যায়। প্রিন্টার দ্বারা সাধারণ কাগজ অথবা বিশেষ ভাবে তৈরী কাগজে ইনভয়েস, লেবেল, চেক, বিল ইত্যাদি সাদাকাল অথবা রঙিন প্রিন্ট নেওয়া যায়। প্রিন্টার দুই ধরনের - ইমপ্যাক্ট এবং নন-ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার।
ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার (Dot Matrix Printer) - ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারকে ইমপ্যাক্ট (Impact) প্রিন্টার বলা হয়। ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারে প্রিন্টার হেড (Printer head)- এর সাহায্যে প্রিন্ট হয়। প্রিন্টার হেডকে পিন (Pin) হিসেবেই সাধারণত উলে¬খ করা হয়ে থাকে। প্রিন্টার হেড বা পিন রিবণের উপর আঘাত করলে রিবণের পেছনে অবস্থিত কাগজে প্রিন্ট হয়। এ্যাপলের ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার ইমেজ রাইটার (Image Writer) হিসেবে পরিচিত। ডট মেট্রিক্সের প্রিন্টর হেড ৯, ২৪, ৪৮ এবং ১৩৬ পিন সমপন্ন হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৯ পিন যুক্ত প্রিন্টার উঠে যাওয়ার পথে। ২৪ পিনযুক্ত প্রিন্টার এখন জনপ্রিয়। ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারকে ন্যারো কাট্রিজ (Narrow Cartridge) বা ৮০ কলাম এবং ওয়াইড কার্টিজ (Wide Cartridge) বা ১৩৬ কলাম প্রিন্টার হিসেবে ভাগ করা হয়। ৮০ কলাম হচেছ এক লাইনে পাশাপাশি ৮০ টি অক্ষর সংকুলানের সম পরিমাণ দৈর্ঘ্য এবং ১৩৬ কলাম হচেছ এক লাইনে পাশাপাশি ১৩৬ টি অক্ষর সংকুলানের সম পরিমাণ দৈর্ঘ্য; ইঞ্চিতে যার পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে সাড়ে ৮ ইঞ্চি এবং সাড়ে ১৪ ইঞ্চি। আজকাল অবশ্য অক্ষরের মাপে প্রিন্টারের অক্ষর সংকুলানের হিসাব করা যায় না; কারণ আজকাল অক্ষরের মাপ সুনির্দিষ্ট নয়।
ইংকজেট প্রিন্টার (Inkjet Printer) - ইংকজেট প্রিন্টার হচেছ ছোট জেট-এর মেট্রিক্স থেকে কালি স্প্রে করে মুদ্রণের কাজ করার প্রযুক্তি সমপন্ন প্রিন্টার। ইংকজেট প্রিন্টারে কোন প্রকার বিরক্তিকর শব্দ হয় না এবং মুদ্রণও হয় চমৎকার। অনভিজ্ঞ চোখে এর মুদ্রণ লেজার প্রিন্টারে মুদ্রণের মান থেকে পৃথক করে চেনা প্রায় অসম্ভব। এই প্রিন্টারে মিডিয়া (কাগজ)-এর উপর দিয়ে যাবার সময় নজল (Nozzles) গুলো থেকে কালি নির্গত হয়। প্রিন্টারের হেডটি কাগজ স্ক্যান করে সমান্তরালভাবে। এতে যে মটরটি ব্যবহার করা হয় সেটি হেডকে পাশাপাশি মুভ করায়। অপর আরেকটি মটর ব্যবহৃত হয় কাগজকে আগে পিছে মুভ করার জন্য। এই উভয় কাজের ফলে প্রিন্টেড কাগজ বের হয়ে আসে এবং পরবর্তী কাগজ প্রিন্ট হবার জন্য তৈরি হয়ে যায়। প্রিন্টিংয়ের গতি বৃদ্ধি করার জন্য প্রিন্টারের হেড শুধুমাত্র একটি পিক্সেলের রো (Row)- তেই সমান্তরালভাবে প্রিন্ট করে না, সাথে সাথে এটি লম্বালম্বিভাবে পিক্সেলের রোও প্রিন্ট করে।
ইনকজেট প্রিন্টার বেশ কম খরচে বাসা ও অফিসের কাজের জন্য কালার প্রিন্টিংয়ের সুবিধা প্রদান করে। তাছাড়া কম গুরুত্বপূর্ণ ও কম পরিমানের কালার প্রিন্টিংয়ের প্রয়োজনসমৃদ্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইনকজেট হচ্ছে আদর্শ প্রিন্টার।
লেজার প্রিন্টার (Laser Printer) - লেজার প্রিন্টার হচেছ উচচ ঘনত্বের (High Resolution) মুদ্রণ যন্ত্র। লেজার প্রিন্টারের মুদ্রণ পদ্ধতি বেশ জটিল। তবুও সাধারণভাবে জানার জন্য এর মুদ্রণ পদ্ধতির একটি সরল বর্ণনা দেয়া যেতে পারে। লেজার প্রিন্টারের নিয়নত্রণ সার্কিট (Controller Circuitry) মুদ্রণের নির্দেশ পাওয়ার পর প্রতিটি পৃষ্ঠার বিটম্যাপ ডট তৈরি করে। গ্রাফিক্স ইমেজের জন্য প্রায় ১ মেগাবাইট জায়গা নিশ্চিত করতে হয়। কমিপউটারের নির্দেশ অনুযায়ী কন্ট্রোলার (Controller) প্রিন্ট ইঞ্জিনকে পরিচালিত করে। প্রিন্ট ইঞ্জিনের লেজার তখন বিটম্যাপকে আলোক সংবেদনশীল ড্রাম বা বেল্টে প্রেরণ করে। লেজার বিম দ্রুত সুইচ অন-অফ (Switching on and off) পদ্ধতিতে ড্রামের উপর দিয়ে অতিক্রম করে যায়। লেজার বিম প্রাপ্ত এলাকায় ড্রাম চার্জ হয়। ড্রাম চার্জকৃত এলাকা লেজার টোনারকে আকর্ষন করে। বৈদ্যুতিক চার্জকৃত (Electrically Charged) তার টোনারকে ড্রাম থেকে কাগজে নিয়ে আসে এবং কাগজে মুদ্রণের জন্য রুলারকে উত্তপ্ত করে।
প্লটার (Plotter)- প্ল¬টার হচেছ এক ধরনের প্রিন্টার। প্রিন্ট করার পদ্ধতি ডট মেট্রিক্সের মতো। ডট মেট্রিক্স-এ প্রিন্ট হয় প্রিন্ট হেড-এর সাহায্যে আর প্লটারে প্রিন্ট হয় পেন এর সাহায্যে। প্লটারে অতি চিকন থেকে মোটা বিভিন্ন ধরনের পেন ব্যবহার করা যায়। স্থপতি প্রকৌশলী এরং অন্যান্য ধরনের নক্সাবিদ এবং যাঁরা মানচিত্র তৈরি করেন তাঁদের সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম রেখার সুসপষ্ট ও সঠিক ব্যবহারের জন্য প¬টারে প্রিন্ট নেয়ার প্রয়োজন হয়। প¬টারে অনেক চওড়া কাগজে প্রিন্ট নেয়া যায়, যা মানচিত্র এবং বিভিন্ন প্রকার নক্সার জন্য অপরিহার্য্য। লেজার প্রিন্টার বা ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারে ১৪ ইঞ্চির চেয়ে বেশি চওড়া কাগজে প্রিন্ট নেয়া যায় না।
সাউন্ড কার্ড ইনষ্টল করা
সাউন্ড কার্ড ইনষ্টল করার ধাপ সমূহ -
১) সাউন্ড© কার্ড ,স্পীকার ও ড্রাইভার সফটওয়্যার (সিডি অথবা ফ্লপি) সংগ্রহ করুন।
২) কম্পিউটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচছন্ন করুন এবং কেসিং অপেন করুন।
৩) সাউন্ড কার্ড ফিট করার জন্য একটি খালি পিসিআই বা আইএসএ স্লট নির্বাচন করুন এবং বরাবর পিছনে মেটাল কভারটির স্ক্রু খুলে জায়গা ফাকা করুন।
এই মাদারেবোর্ডে দুইটি সাদা ও একটি হলুদ রংগের পিসিআই স্লট আছে। এই স্লটে আমরা সাউন্ড কার্ড সেট করব।
৪) সাবধানে আলতো করে কার্ডটির সংযোগ প্রাপ্ত স্লটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন এবং স্ক্রুর সাহায্যে কেসিং এর সাথে আটকিয়ে দিন।
৫. এতে আলাদা কোন বিদ্যুৎ সংযোগ লাগে না। আপনি যদি সিডিরম ইনষ্টল করে থাকেন তবে সাউন্ড কার্ড ও তার মধ্যে ডাটা কেবলের সংযোগ দিতে হবে। একটি ডাটা কেবল সিডি-রমের সাথে পাওয়া যায় (এখন ডাটা কেবলটির এক প্রাপ্ত সাউন্ড কার্ডের সঙ্গে এর অন্য প্রাপ্ত সিডি রমের পিছনে (বিদ্যুৎ সংযোগের নিকটে) সকেটে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। তাহলে সংযোগ সমাপ্ত হল । যদি আপনার সিডি-রম না থাকে তবে আলাদা কেবল দরকার নাই- আপনি হার্ডডিস্ক থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রাম চালাতে পারবেন।
এই ডাটা কেবলটির এক প্রাপ্ত সাউন্ড কার্ডের সঙ্গে এর অন্য প্রাপ্ত সিডি রমের পিছনের সকেটে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন
৬) আপনার মাদার বোর্ডে যদি বিল্ট-ইন সাউন্ড কার্ড যাকে এবং আপনি আর একটি কার্ড স্থাপন করেন তবে বায়োস সেটআপে গিয়ে (Peripheral setup অপশনে) Onboard Sound Pro আইটেমটি disable করে দিতে হবে।
৭) এবার স্পীকার সেট করার পালা- এটা খুবই সহজ। আপনার স্পীকার মনো অথবা ষ্টেরিও যাই কোন না তাতে একটি প্লাগ থাকে। আপনি উক্ত প্লাগটি সাউন্ড কার্ডের ব্যাক প্যানেলে অবস্থিত Line Out/Spk Out সকেটে ঢুকিয়ে দিন। যদি আপনি এমপ্লিফায়েড স্পীকার ব্যবহার করেন তাহলে সেগুলোকে সাউন্ড কার্ডের স্পীকার আউট জ্যাকের পরিবর্তে Line Out জ্যাকে সংযোগ দিতে হবে। আর ১ একটি পোর্ট (অনেক ক্ষেত্রে লাল বা নীল রঙের মার্ক করা থাকে) এবং MIC লেখা থাকে, যাতে আপনি সাউন্ড রেকর্ড করার জন্য মাইক্রোফোন লাগাতে পারেন। এই প্যানেলে MIDI/Game নামে ১৫ পিন বিশিষ্ট যে সকেটটি থাকে তাকে গেম পোর্ট বলে এতে আপনি ইচেছ করলে জয়ষ্টিক লাগাতে পারেন।
নিচে স্পিকারের জ্যাকগুলি কিভাবে সাউন্ড কার্ডের পোর্টে লাগাতে হবে তা দেখানো হলো- ডান দিকে ১৫ পিনের সিরিয়াল পোর্টে জয়ষ্টিক লাগাতে পারেন।
৮) ড্রাইভার ইনস্টল করা - ড্রাইভার এক ধরনের সফটওয়্যার যা অপারেটিং সিস্টেম ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে। আশা করি আপনি ইতিমধ্যে সাউন্ড কার্ড ও স্পীকার করেছেন। এবার কম্পিউটার অন করুন। উইন্ডোজ প্লাগ এন্ড প্লে¬ পদ্ধতির মাধ্যমে সাউন্ড কার্ডটি সনাক্ত করতে এবং ড্রাইভার সফটওয়্যার চাইবে। সাথে পাওয়া সিডি টি সিডি-রম এ অথবা ফ্লপিডিস্কটি ফ্লপি ড্রাইভে ঢুকিয়ে দিন এবং ড্রাইভ লিষ্ট থেকে ড্রাইভ এ: অথবা সিডিরম সিলেক্ট করে ওকে ক্লিক করুন। নির্দেশ গুলো ভাল মত পড়ুন এবং নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করুন অল্পক্ষনের মধ্যেই আপনার ড্রাইভার ইনষ্টল হয়ে যাবে।
আপনার সিস্টেম যদি প্লাগ এন্ড প্লে ¬সাপোর্ট না করে তবে উপরেরর পদ্ধতি কাজ নাও করতে পারে তাহলে নিম্ম বর্ণিত পদ্ধতিতে ড্রাইভার ইনষ্টল করতে হবে।
উইন্ডোজ চালু হবার পর Start মেনু থেতে Settings Contro Panel অপশন সিলেক্ট করে মাউস ক্লিক করুন।
Control Panel উইন্ডো মনিটরে দেখা দিবে। Add New Hardware আইকনে ডাবল ক্লিক কর"ন। Add New Hardware Wizard নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। Next বোতামে ক্লিক কর"ন। আবার Next বোতামে ক্লিক কর"ন। "No the device is not in the list " অপশনটি বাটনটিতে ক্লিক করে Next বাটনে ক্লিক কর"ন। "No I want to select the hardware from the list " অপশন বাটনটি সিলেক্ট কর"ন এবং Next বাটনে ক্লিক কর"ন।
Hardware Type লিষ্ট থেকে "Sound, Video & game controllers" আইটেমটিতে ডাবল ক্লিক কর"ন।
"Have disk" বোতামটি ক্লিক কর"ন। "Install from disk" ডায়ালগ বক্স দেখা যাবে।
মনিটরের সঙ্গে আগত সিডিটি সিডি-রম ড্রাইভে প্রবেশ করান এবং Browse বোতামটি ক্লিক করূন।
"Open" ডায়ালগ বক্স থেকে সিডি ড্রাইভ নির্বাচন করে OK বাটন ক্লিক কর"ন।
"Install from the disk" ডায়ালগ বক্সে ফিরে আসবে। OK বাটন ক্লিক করুন। পর্দায় দেখানো নির্দেশ মত কাজ কর"ন - আপনার প্রাইভারটি ইনষ্টল হয়ে যাবে।
প্রিন্টার ইনষ্টল করা
বাজারে অনেক ধরনের প্রিন্টার পাওয়া যায়ঃ- যেমন ,
1. ডট মেট্রিকস প্রিন্টার
2. ইনকজেট /বাবলজেট প্রিন্টার
3. লেজার প্রিন্টার
সাধারন এক রং কাজের জন্য ডট মেট্রিক্স ব্যবহার করা হয় এবং উন্নত মানের এক রং প্রিন্ট নিতে হলে এবং অফসেট প্রিন্ট এর জন্য লেজার প্রিন্টার প্রয়োজন পড়ে। তবে কালার প্রিন্ট দরকার হলে ইনকজেট ছাড়া উপায় নাই। বাজারে অনেক কোম্পানীর বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন দামের প্রিন্টার পাওয়া যায়। তার মধ্যে -
• Hewlette Packard কোম্পানীর - Deskjet , Laserjet etc ইত্যাদি
• Epson (Japan) কোম্পানীর Dot matrix , Stylus color ইত্যাদি
• Canon কোম্পানীর Bubble jet ইত্যাদি বেশী প্রচলিত।
প্রায় সব প্রিন্টারের ইনষ্টল পদ্ধতি একই রকম। তাই আমরা নিচে Hewlette Packard কোম্পানীর - Deskjet 670C মডেলের ইনষ্টল করার পদ্ধতি বর্ণনা করলাম।
ধাপসমূহ :-
১। প্রিন্টার সংগ্রহ করাঃ- খেয়াল রাখতে হবে প্রিন্টারের সঙ্গে যেন পাওয়ার কর্ড, কেবল ও Installation disk অথবা সিডি অবশ্যই থাকে।
২। কাটুর্ন এর মধ্যে থেকে সাবধানে প্রিন্টার বের করুন এবং ভিতরে Ink Cartridge গার্ড সরিয়ে ফেলুন। সমান্তরাল ভাবে টেবিলের উপরে প্রিন্টার রাখুন।
৩। পাওয়ার কেবলের এক মাথা প্রিন্টারের সঙ্গে যুক্ত যাকে তাই অন্য মাথাটি কম্পিউটারের পিছনে পাওয়ার সকেটে ঢুকিয়ে দিন।
৪। ডাটা কেবলটি প্যারালাল কেবল বিধায় এর এক মাথা (২৫ পিন বিশিষ্ট Male সাইড) মাদার বোর্ডের প্যারালাল পোর্টে (LPT1 port) স্ক্রু দ্বারা আটকিয়ে দিতে হবে , অন্য মাথা(৩৬ পিন বিশিষ্ট Female সাইড) প্রিন্টারের ইনপুট সকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে দুই পাশ্বের ক্লিপ দ্বারা আটকাতে হবে। ইহার এক মাথা অন্য দিকে ঢুকানো সম্ভব নয়। এবার কম্পিউটার অন কর"ন এবং প্রিন্টারে পাওয়ার সুইচ দিন।
৫। প্রিন্টার কনফিগার করা অর্থাৎ ড্রাইভার ইনষ্টল করা - প্রিন্টার থেকে কাংক্ষিত কাজ নিতে হলে অপারেটিং সিস্টেমকে তা চিনিয়ে দিতে হবে। তাই উইন্ডোজ ৯৮ দ্বারা কিভাবে কনফিগার করতে হয় তা আলোচনা করা হলঃ
1. Start মেনু থেকে Settings > Printers সিলেক্ট করে ক্লিক করুন ; Printers উইন্ডো দেখা যাবে। Add Printer আইকনে ডাবল ক্লিক করুন ; Add Printer উইন্ডো আসবে ; Next বাটন ক্লিক করুন। Have Disk বাটনে ক্লিক করুন ; Install from Disk ডায়লগ বক্স আসবে।
2. ফ্লপি ড্রাইভে প্রিন্টারের সঙ্গে আগত ১নং ডিস্কটি ঢুকিয়ে দিন এবং OK ক্লিক করুন। আর একটি ডায়ালগ বক্সে "HP Deskjet 670C series printers" অপশনটি সিলেক্ট অবস্থায় থাকবে। Next বোতাম ক্লিক করুন। Available port লিষ্ট থেকে LPT1: printer port সিলেক্ট করুন এবং Next বোতাম ক্লিক করুন। । আরও একটি ডায়ালগ বক্সে Yes অপশন বাটন সিলেক্ট করুন এবং Finish বাটন ক্লিক করুন।
3. Copying Files ডায়লগ বক্সে ফাইল কপি হতে থাকবে। কিছুক্ষন পর Insert disk নামক ম্যাসেজ বক্স দেখা যাবে। ১ নং ডিস্ক বের করে ২ নং ডিস্ক ঢুকিয়ে দিন এবং OK ক্লিক কর"ন। আরও ফাইল কপি হবে এবং আবার ও Insert disk ম্যাসেজ বক্স দেখা যাবে। ২নং ডিস্ক বের করে ৩নং ডিস্ক ঢুকান এবং OK ক্লিক কর"ন। আরও ফাইল কপি শেষে HP Printer Setup program ডায়লগ বক্স দেখা যাবে। Agree to the licence বোতামে ক্লিক করুন (প্রিন্টারটি অন করে রাখুন)। Checking Communication শেষে যে উইন্ডোজ আসবে তা ক্লোজ কর"ন। ওকে বাটন ক্লিক করুন। Printers Window তে আপনার নতুন প্রিন্টারের আইকন দেখা যাবে।
4. HP Deskjet 670C series আইকনটি ডান মাউস দ্বারা ক্লিক করুন এবং Set as default option টি ক্লিক করুন। এবার আপনার প্রিন্ট করার জন্য প্রস্তুত। Printers উইন্ডোটি ক্লোজ করুন।
Monitor : মনিটর :- ইহা একটি আউটপুট ইউনিট অর্থাৎ এর মার্ধ্যমে সিপি ইউ এর কার্য্য সমপাদনের ফলাফল প্রকাশ পায়। মনিটর দুই ধরনের - ১) সাদা কালো এরং ২) রংগীন । মাদারবোর্ডের সংগে ভিডিও কার্ড /এজিপি কার্ড সংযোগ করে ডাটা কেবল এর মাধ্যমে মনিটরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। মনিটরে ছবির গুন/মান নির্ভর করে এর রিজোলিউশনের উপরে - রিজোলিউশনের একক হলো পিক্সেল । বর্তমানে বাজারে ২০০০/১২০০ পিক্সেল রিজোলিউশন সম্পন্ন মনিটর পাওয়া যায় । তা ছাড়াও ভিডিও কার্ড এবং এজিপি কার্ডের উপরেও রিজোলিউশন নির্ভর করে। থ্রি ডাইমেনশনাল ছরি অথবা ভিডিও ফিল্ম দেখতে হলে উন্নত মানের এজিপি কার্ড লাগে। বাংলদেশে ফিলিপস্ , হুন্দাই , স্যামসুং , এলজি প্রভৃতি কোম্পানীর মনিটর পাওয়া যায়।
Printer : প্রিন্টার :- ইহাও একটি আউটপুট ইউনিট - অর্থাৎ এর মার্ধ্যমে সি পি ইউ এর কার্য্য সমপাদনের ফলাফল কাগজে লিখে রাখা যায়। অনেক ধরনের প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায় - তার মধ্যে ডট প্রিন্টার , ইন্কজেট প্রিন্টার এরং লেজার প্রিন্টারই প্রধান। এইচ, পি, ক্যানন, এপসন প্রভৃতি বিখ্যাত প্রিন্টার প্রস্তুতকারী কোম্পানী
Sound Box : সাউন্ড বক্স - বর্তমানে মাল্টিমিডিয়ার যুগে সাউন্ড বক্স কমপিউটারের অপরিহার্য্য অংগ। কারন গান শুনতে, সিনেমা দেখতে, গেম খেলতে, ভয়েস চ্যাট করতে সর্বত্রই এর প্রয়োজন। সাউন্ড কার্ড হার্ড ডিস্ক বা সিডি থেকে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল গিনালকে এনালগ সিগনালে পরিনত করে সাউন্ড বক্সে পাঠালে আমরা শব্দ শুনতে পাই। বর্তমানে ষ্টেরিও , থ্রিডি ও সারাউন্ড সাউন্ড শোনার জন্য এক থেকে ৬ চ্যানেলের সাউন্ড কার্ড ও বক্স পাওয়া যায়।
Printer : প্রিন্টার :- ইহাও একটি আউটপুট ইউনিট - অর্থাৎ এর মার্ধ্যমে সি পি ইউ এর কার্য্য সমপাদনের ফলাফল কাগজে লিখে রাখা যায়। অনেক ধরনের প্রিন্টার বাজারে পাওয়া যায় - তার মধ্যে ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার , ইন্কজেট প্রিন্টার এরং লেজার প্রিন্টারই প্রধান। এইচ, পি, ক্যানন, এপসন প্রভৃতি বিখ্যাত প্রিন্টার প্রস্তুতকারী কোম্পানী
প্রিন্টার হচেছ সব চেয়ে বেশী ব্যবহৃত আউটপুট ডিভাইস। ইহা দ্বারা কমিপউটারের আউটপুটকে স্থায়ী ভাবে সংরক্ষন করা হয়। প্রিন্টারের দ্বারা প্রতি মিনিটে ১৫০ থেকে ২০০০ লাইন প্রিন্ট করা যায় এবং প্রত্যেক লাইন ১৫০ অক্ষর পর্য্যন্ত থাকতে পারে এই ভাবে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫০০০ অক্ষর প্রিন্ট করা যায়। প্রিন্টার দ্বারা সাধারণ কাগজ অথবা বিশেষ ভাবে তৈরী কাগজে ইনভয়েস, লেবেল, চেক, বিল ইত্যাদি সাদাকাল অথবা রঙিন প্রিন্ট নেওয়া যায়। প্রিন্টার দুই ধরনের - ইমপ্যাক্ট এবং নন-ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার।
ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার (Dot Matrix Printer) - ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারকে ইমপ্যাক্ট (Impact) প্রিন্টার বলা হয়। ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারে প্রিন্টার হেড (Printer head)- এর সাহায্যে প্রিন্ট হয়। প্রিন্টার হেডকে পিন (Pin) হিসেবেই সাধারণত উলে¬খ করা হয়ে থাকে। প্রিন্টার হেড বা পিন রিবণের উপর আঘাত করলে রিবণের পেছনে অবস্থিত কাগজে প্রিন্ট হয়। এ্যাপলের ডট মেট্রিক্স প্রিন্টার ইমেজ রাইটার (Image Writer) হিসেবে পরিচিত। ডট মেট্রিক্সের প্রিন্টর হেড ৯, ২৪, ৪৮ এবং ১৩৬ পিন সমপন্ন হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৯ পিন যুক্ত প্রিন্টার উঠে যাওয়ার পথে। ২৪ পিনযুক্ত প্রিন্টার এখন জনপ্রিয়। ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারকে ন্যারো কাট্রিজ (Narrow Cartridge) বা ৮০ কলাম এবং ওয়াইড কার্টিজ (Wide Cartridge) বা ১৩৬ কলাম প্রিন্টার হিসেবে ভাগ করা হয়। ৮০ কলাম হচেছ এক লাইনে পাশাপাশি ৮০ টি অক্ষর সংকুলানের সম পরিমাণ দৈর্ঘ্য এবং ১৩৬ কলাম হচেছ এক লাইনে পাশাপাশি ১৩৬ টি অক্ষর সংকুলানের সম পরিমাণ দৈর্ঘ্য; ইঞ্চিতে যার পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে সাড়ে ৮ ইঞ্চি এবং সাড়ে ১৪ ইঞ্চি। আজকাল অবশ্য অক্ষরের মাপে প্রিন্টারের অক্ষর সংকুলানের হিসাব করা যায় না; কারণ আজকাল অক্ষরের মাপ সুনির্দিষ্ট নয়।
ইংকজেট প্রিন্টার (Inkjet Printer) - ইংকজেট প্রিন্টার হচেছ ছোট জেট-এর মেট্রিক্স থেকে কালি স্প্রে করে মুদ্রণের কাজ করার প্রযুক্তি সমপন্ন প্রিন্টার। ইংকজেট প্রিন্টারে কোন প্রকার বিরক্তিকর শব্দ হয় না এবং মুদ্রণও হয় চমৎকার। অনভিজ্ঞ চোখে এর মুদ্রণ লেজার প্রিন্টারে মুদ্রণের মান থেকে পৃথক করে চেনা প্রায় অসম্ভব। এই প্রিন্টারে মিডিয়া (কাগজ)-এর উপর দিয়ে যাবার সময় নজল (Nozzles) গুলো থেকে কালি নির্গত হয়। প্রিন্টারের হেডটি কাগজ স্ক্যান করে সমান্তরালভাবে। এতে যে মটরটি ব্যবহার করা হয় সেটি হেডকে পাশাপাশি মুভ করায়। অপর আরেকটি মটর ব্যবহৃত হয় কাগজকে আগে পিছে মুভ করার জন্য। এই উভয় কাজের ফলে প্রিন্টেড কাগজ বের হয়ে আসে এবং পরবর্তী কাগজ প্রিন্ট হবার জন্য তৈরি হয়ে যায়। প্রিন্টিংয়ের গতি বৃদ্ধি করার জন্য প্রিন্টারের হেড শুধুমাত্র একটি পিক্সেলের রো (Row)- তেই সমান্তরালভাবে প্রিন্ট করে না, সাথে সাথে এটি লম্বালম্বিভাবে পিক্সেলের রোও প্রিন্ট করে।
ইনকজেট প্রিন্টার বেশ কম খরচে বাসা ও অফিসের কাজের জন্য কালার প্রিন্টিংয়ের সুবিধা প্রদান করে। তাছাড়া কম গুরুত্বপূর্ণ ও কম পরিমানের কালার প্রিন্টিংয়ের প্রয়োজনসমৃদ্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইনকজেট হচ্ছে আদর্শ প্রিন্টার।
লেজার প্রিন্টার (Laser Printer) - লেজার প্রিন্টার হচেছ উচচ ঘনত্বের (High Resolution) মুদ্রণ যন্ত্র। লেজার প্রিন্টারের মুদ্রণ পদ্ধতি বেশ জটিল। তবুও সাধারণভাবে জানার জন্য এর মুদ্রণ পদ্ধতির একটি সরল বর্ণনা দেয়া যেতে পারে। লেজার প্রিন্টারের নিয়নত্রণ সার্কিট (Controller Circuitry) মুদ্রণের নির্দেশ পাওয়ার পর প্রতিটি পৃষ্ঠার বিটম্যাপ ডট তৈরি করে। গ্রাফিক্স ইমেজের জন্য প্রায় ১ মেগাবাইট জায়গা নিশ্চিত করতে হয়। কমিপউটারের নির্দেশ অনুযায়ী কন্ট্রোলার (Controller) প্রিন্ট ইঞ্জিনকে পরিচালিত করে। প্রিন্ট ইঞ্জিনের লেজার তখন বিটম্যাপকে আলোক সংবেদনশীল ড্রাম বা বেল্টে প্রেরণ করে। লেজার বিম দ্রুত সুইচ অন-অফ (Switching on and off) পদ্ধতিতে ড্রামের উপর দিয়ে অতিক্রম করে যায়। লেজার বিম প্রাপ্ত এলাকায় ড্রাম চার্জ হয়। ড্রাম চার্জকৃত এলাকা লেজার টোনারকে আকর্ষন করে। বৈদ্যুতিক চার্জকৃত (Electrically Charged) তার টোনারকে ড্রাম থেকে কাগজে নিয়ে আসে এবং কাগজে মুদ্রণের জন্য রুলারকে উত্তপ্ত করে।
প্লটার (Plotter)- প্ল¬টার হচেছ এক ধরনের প্রিন্টার। প্রিন্ট করার পদ্ধতি ডট মেট্রিক্সের মতো। ডট মেট্রিক্স-এ প্রিন্ট হয় প্রিন্ট হেড-এর সাহায্যে আর প্লটারে প্রিন্ট হয় পেন এর সাহায্যে। প্লটারে অতি চিকন থেকে মোটা বিভিন্ন ধরনের পেন ব্যবহার করা যায়। স্থপতি প্রকৌশলী এরং অন্যান্য ধরনের নক্সাবিদ এবং যাঁরা মানচিত্র তৈরি করেন তাঁদের সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম রেখার সুসপষ্ট ও সঠিক ব্যবহারের জন্য প¬টারে প্রিন্ট নেয়ার প্রয়োজন হয়। প¬টারে অনেক চওড়া কাগজে প্রিন্ট নেয়া যায়, যা মানচিত্র এবং বিভিন্ন প্রকার নক্সার জন্য অপরিহার্য্য। লেজার প্রিন্টার বা ডট মেট্রিক্স প্রিন্টারে ১৪ ইঞ্চির চেয়ে বেশি চওড়া কাগজে প্রিন্ট নেয়া যায় না।
সাউন্ড কার্ড ইনষ্টল করা
সাউন্ড কার্ড ইনষ্টল করার ধাপ সমূহ -
১) সাউন্ড© কার্ড ,স্পীকার ও ড্রাইভার সফটওয়্যার (সিডি অথবা ফ্লপি) সংগ্রহ করুন।
২) কম্পিউটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচছন্ন করুন এবং কেসিং অপেন করুন।
৩) সাউন্ড কার্ড ফিট করার জন্য একটি খালি পিসিআই বা আইএসএ স্লট নির্বাচন করুন এবং বরাবর পিছনে মেটাল কভারটির স্ক্রু খুলে জায়গা ফাকা করুন।
এই মাদারেবোর্ডে দুইটি সাদা ও একটি হলুদ রংগের পিসিআই স্লট আছে। এই স্লটে আমরা সাউন্ড কার্ড সেট করব।
৪) সাবধানে আলতো করে কার্ডটির সংযোগ প্রাপ্ত স্লটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন এবং স্ক্রুর সাহায্যে কেসিং এর সাথে আটকিয়ে দিন।
৫. এতে আলাদা কোন বিদ্যুৎ সংযোগ লাগে না। আপনি যদি সিডিরম ইনষ্টল করে থাকেন তবে সাউন্ড কার্ড ও তার মধ্যে ডাটা কেবলের সংযোগ দিতে হবে। একটি ডাটা কেবল সিডি-রমের সাথে পাওয়া যায় (এখন ডাটা কেবলটির এক প্রাপ্ত সাউন্ড কার্ডের সঙ্গে এর অন্য প্রাপ্ত সিডি রমের পিছনে (বিদ্যুৎ সংযোগের নিকটে) সকেটে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। তাহলে সংযোগ সমাপ্ত হল । যদি আপনার সিডি-রম না থাকে তবে আলাদা কেবল দরকার নাই- আপনি হার্ডডিস্ক থেকে মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রাম চালাতে পারবেন।
এই ডাটা কেবলটির এক প্রাপ্ত সাউন্ড কার্ডের সঙ্গে এর অন্য প্রাপ্ত সিডি রমের পিছনের সকেটে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন
৬) আপনার মাদার বোর্ডে যদি বিল্ট-ইন সাউন্ড কার্ড যাকে এবং আপনি আর একটি কার্ড স্থাপন করেন তবে বায়োস সেটআপে গিয়ে (Peripheral setup অপশনে) Onboard Sound Pro আইটেমটি disable করে দিতে হবে।
৭) এবার স্পীকার সেট করার পালা- এটা খুবই সহজ। আপনার স্পীকার মনো অথবা ষ্টেরিও যাই কোন না তাতে একটি প্লাগ থাকে। আপনি উক্ত প্লাগটি সাউন্ড কার্ডের ব্যাক প্যানেলে অবস্থিত Line Out/Spk Out সকেটে ঢুকিয়ে দিন। যদি আপনি এমপ্লিফায়েড স্পীকার ব্যবহার করেন তাহলে সেগুলোকে সাউন্ড কার্ডের স্পীকার আউট জ্যাকের পরিবর্তে Line Out জ্যাকে সংযোগ দিতে হবে। আর ১ একটি পোর্ট (অনেক ক্ষেত্রে লাল বা নীল রঙের মার্ক করা থাকে) এবং MIC লেখা থাকে, যাতে আপনি সাউন্ড রেকর্ড করার জন্য মাইক্রোফোন লাগাতে পারেন। এই প্যানেলে MIDI/Game নামে ১৫ পিন বিশিষ্ট যে সকেটটি থাকে তাকে গেম পোর্ট বলে এতে আপনি ইচেছ করলে জয়ষ্টিক লাগাতে পারেন।
নিচে স্পিকারের জ্যাকগুলি কিভাবে সাউন্ড কার্ডের পোর্টে লাগাতে হবে তা দেখানো হলো- ডান দিকে ১৫ পিনের সিরিয়াল পোর্টে জয়ষ্টিক লাগাতে পারেন।
৮) ড্রাইভার ইনস্টল করা - ড্রাইভার এক ধরনের সফটওয়্যার যা অপারেটিং সিস্টেম ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে। আশা করি আপনি ইতিমধ্যে সাউন্ড কার্ড ও স্পীকার করেছেন। এবার কম্পিউটার অন করুন। উইন্ডোজ প্লাগ এন্ড প্লে¬ পদ্ধতির মাধ্যমে সাউন্ড কার্ডটি সনাক্ত করতে এবং ড্রাইভার সফটওয়্যার চাইবে। সাথে পাওয়া সিডি টি সিডি-রম এ অথবা ফ্লপিডিস্কটি ফ্লপি ড্রাইভে ঢুকিয়ে দিন এবং ড্রাইভ লিষ্ট থেকে ড্রাইভ এ: অথবা সিডিরম সিলেক্ট করে ওকে ক্লিক করুন। নির্দেশ গুলো ভাল মত পড়ুন এবং নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করুন অল্পক্ষনের মধ্যেই আপনার ড্রাইভার ইনষ্টল হয়ে যাবে।
আপনার সিস্টেম যদি প্লাগ এন্ড প্লে ¬সাপোর্ট না করে তবে উপরেরর পদ্ধতি কাজ নাও করতে পারে তাহলে নিম্ম বর্ণিত পদ্ধতিতে ড্রাইভার ইনষ্টল করতে হবে।
উইন্ডোজ চালু হবার পর Start মেনু থেতে Settings Contro Panel অপশন সিলেক্ট করে মাউস ক্লিক করুন।
Control Panel উইন্ডো মনিটরে দেখা দিবে। Add New Hardware আইকনে ডাবল ক্লিক কর"ন। Add New Hardware Wizard নামে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। Next বোতামে ক্লিক কর"ন। আবার Next বোতামে ক্লিক কর"ন। "No the device is not in the list " অপশনটি বাটনটিতে ক্লিক করে Next বাটনে ক্লিক কর"ন। "No I want to select the hardware from the list " অপশন বাটনটি সিলেক্ট কর"ন এবং Next বাটনে ক্লিক কর"ন।
Hardware Type লিষ্ট থেকে "Sound, Video & game controllers" আইটেমটিতে ডাবল ক্লিক কর"ন।
"Have disk" বোতামটি ক্লিক কর"ন। "Install from disk" ডায়ালগ বক্স দেখা যাবে।
মনিটরের সঙ্গে আগত সিডিটি সিডি-রম ড্রাইভে প্রবেশ করান এবং Browse বোতামটি ক্লিক করূন।
"Open" ডায়ালগ বক্স থেকে সিডি ড্রাইভ নির্বাচন করে OK বাটন ক্লিক কর"ন।
"Install from the disk" ডায়ালগ বক্সে ফিরে আসবে। OK বাটন ক্লিক করুন। পর্দায় দেখানো নির্দেশ মত কাজ কর"ন - আপনার প্রাইভারটি ইনষ্টল হয়ে যাবে।
প্রিন্টার ইনষ্টল করা
বাজারে অনেক ধরনের প্রিন্টার পাওয়া যায়ঃ- যেমন ,
1. ডট মেট্রিকস প্রিন্টার
2. ইনকজেট /বাবলজেট প্রিন্টার
3. লেজার প্রিন্টার
সাধারন এক রং কাজের জন্য ডট মেট্রিক্স ব্যবহার করা হয় এবং উন্নত মানের এক রং প্রিন্ট নিতে হলে এবং অফসেট প্রিন্ট এর জন্য লেজার প্রিন্টার প্রয়োজন পড়ে। তবে কালার প্রিন্ট দরকার হলে ইনকজেট ছাড়া উপায় নাই। বাজারে অনেক কোম্পানীর বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন দামের প্রিন্টার পাওয়া যায়। তার মধ্যে -
• Hewlette Packard কোম্পানীর - Deskjet , Laserjet etc ইত্যাদি
• Epson (Japan) কোম্পানীর Dot matrix , Stylus color ইত্যাদি
• Canon কোম্পানীর Bubble jet ইত্যাদি বেশী প্রচলিত।
প্রায় সব প্রিন্টারের ইনষ্টল পদ্ধতি একই রকম। তাই আমরা নিচে Hewlette Packard কোম্পানীর - Deskjet 670C মডেলের ইনষ্টল করার পদ্ধতি বর্ণনা করলাম।
ধাপসমূহ :-
১। প্রিন্টার সংগ্রহ করাঃ- খেয়াল রাখতে হবে প্রিন্টারের সঙ্গে যেন পাওয়ার কর্ড, কেবল ও Installation disk অথবা সিডি অবশ্যই থাকে।
২। কাটুর্ন এর মধ্যে থেকে সাবধানে প্রিন্টার বের করুন এবং ভিতরে Ink Cartridge গার্ড সরিয়ে ফেলুন। সমান্তরাল ভাবে টেবিলের উপরে প্রিন্টার রাখুন।
৩। পাওয়ার কেবলের এক মাথা প্রিন্টারের সঙ্গে যুক্ত যাকে তাই অন্য মাথাটি কম্পিউটারের পিছনে পাওয়ার সকেটে ঢুকিয়ে দিন।
৪। ডাটা কেবলটি প্যারালাল কেবল বিধায় এর এক মাথা (২৫ পিন বিশিষ্ট Male সাইড) মাদার বোর্ডের প্যারালাল পোর্টে (LPT1 port) স্ক্রু দ্বারা আটকিয়ে দিতে হবে , অন্য মাথা(৩৬ পিন বিশিষ্ট Female সাইড) প্রিন্টারের ইনপুট সকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে দুই পাশ্বের ক্লিপ দ্বারা আটকাতে হবে। ইহার এক মাথা অন্য দিকে ঢুকানো সম্ভব নয়। এবার কম্পিউটার অন কর"ন এবং প্রিন্টারে পাওয়ার সুইচ দিন।
৫। প্রিন্টার কনফিগার করা অর্থাৎ ড্রাইভার ইনষ্টল করা - প্রিন্টার থেকে কাংক্ষিত কাজ নিতে হলে অপারেটিং সিস্টেমকে তা চিনিয়ে দিতে হবে। তাই উইন্ডোজ ৯৮ দ্বারা কিভাবে কনফিগার করতে হয় তা আলোচনা করা হলঃ
1. Start মেনু থেকে Settings > Printers সিলেক্ট করে ক্লিক করুন ; Printers উইন্ডো দেখা যাবে। Add Printer আইকনে ডাবল ক্লিক করুন ; Add Printer উইন্ডো আসবে ; Next বাটন ক্লিক করুন। Have Disk বাটনে ক্লিক করুন ; Install from Disk ডায়লগ বক্স আসবে।
2. ফ্লপি ড্রাইভে প্রিন্টারের সঙ্গে আগত ১নং ডিস্কটি ঢুকিয়ে দিন এবং OK ক্লিক করুন। আর একটি ডায়ালগ বক্সে "HP Deskjet 670C series printers" অপশনটি সিলেক্ট অবস্থায় থাকবে। Next বোতাম ক্লিক করুন। Available port লিষ্ট থেকে LPT1: printer port সিলেক্ট করুন এবং Next বোতাম ক্লিক করুন। । আরও একটি ডায়ালগ বক্সে Yes অপশন বাটন সিলেক্ট করুন এবং Finish বাটন ক্লিক করুন।
3. Copying Files ডায়লগ বক্সে ফাইল কপি হতে থাকবে। কিছুক্ষন পর Insert disk নামক ম্যাসেজ বক্স দেখা যাবে। ১ নং ডিস্ক বের করে ২ নং ডিস্ক ঢুকিয়ে দিন এবং OK ক্লিক কর"ন। আরও ফাইল কপি হবে এবং আবার ও Insert disk ম্যাসেজ বক্স দেখা যাবে। ২নং ডিস্ক বের করে ৩নং ডিস্ক ঢুকান এবং OK ক্লিক কর"ন। আরও ফাইল কপি শেষে HP Printer Setup program ডায়লগ বক্স দেখা যাবে। Agree to the licence বোতামে ক্লিক করুন (প্রিন্টারটি অন করে রাখুন)। Checking Communication শেষে যে উইন্ডোজ আসবে তা ক্লোজ কর"ন। ওকে বাটন ক্লিক করুন। Printers Window তে আপনার নতুন প্রিন্টারের আইকন দেখা যাবে।
4. HP Deskjet 670C series আইকনটি ডান মাউস দ্বারা ক্লিক করুন এবং Set as default option টি ক্লিক করুন। এবার আপনার প্রিন্ট করার জন্য প্রস্তুত। Printers উইন্ডোটি ক্লোজ করুন।
Comments
Post a Comment