BIOS

সিস্টেম বায়োস (BIOS)
• বায়োস কি ?
• বায়োস কেন ?
• সিস্টেমে বায়োসের ভুমিকা
• বায়োস ফিচারস ?
• PNP ফিচার
• পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ফিচার
• সিকিউরিটি ফিচার
• অটো-কনফিগারেশন ফিচার
• প্রশ্নোত্তরে বায়োস
বায়োস কি ? বায়োস হচেছ Basic Input Output System এর সংক্ষিপ্ত রূপ। সহজ ভাষায় এটা হচেছ ইন্সট্রাকশনের সেট বা এক গুচছ নির্দেশ এবং কিছু তথ্য যা আপনার কম্পিউটারকে নির্জীব অবস্থা থেকে বুট করতে সাহায্য করে এবং কম্পিউটার কমপোনেন্ট সমূহের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। এই ইন্সট্রাকশন গুলো সাধারণত একটি রম চিপ এ মাদার বোর্ডে বিল্ট -ইন থাকে, যাকে বায়োস -চিপ বলে।

বায়োসের কাজ কি ? আপনার কম্পিউটার শুধুই একটি মাইক্রো প্রসেসর, ডিসপ্লে¬ ইউনিট কিংবা শুধু একটি স্টোরেজ ডিভাইস নয় বরং এটা হল একটি সম্পূর্ণ সিস্টেম যাতে বিভিন্ন কম্পোনেন্ট সমন্বিতভাবে কাজ করে। আপনার সিস্টেমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী উপাদান হচ্ছে সিপিইউ যাকে ঘিরেই অবর্তিত হয় সিস্টেমের সব কিছু। কিন্তু এর একক ভুমিকা কখনোই যথেষ্ট নয়। সিপিইউ ইনপুট টার্মিনাল ডাটা পেলে সে তা প্রসেস করে আউটপুটে পাঠিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সেটা তখনো ব্যবহারকারীর জন্য বোধগম্য হয়ে উঠে না। ব্যবহারকারীর জন্য চাই সহজ বোধ্য ইনপুট ইন্টারফেস (কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি) ; চাই বোধগম্য ভিজ্যুয়াল আউটপুট (মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি); তথ্য সংরক্ষনের জন্য চাই স্টোরেজ ডিভাইস (যেমন, হার্ডডিস্ক, ফ্লপিডিস্ক ইত্যাদি)। মাল্টিমিডিয়া আর কমিউনিকেশন কম্পোনেন্টের কথা না হয় বাদই দিলাম। সব কিছু মিলিয়ে তবেই কম্পিউটারের পারফরমেন্স অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এই যে এতসব কম্পোনেন্ট যারা প্রত্যেকেই বিশেষ কাজের জন্য নিবেদিত তাদের সমন্বয়ের দায়িত্ব কে নেবে? কাউকে তো এটাও নিশ্চিত করতে হবে এরা যেন পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, পরস্পর বিরোধী হিসেবে নয়। কারণ সিস্টেম কম্পোনেন্ট সবই হল পৃথক পৃথক সত্ত্বা। এরা চেনে কেবল তাদের টার্মিনালকে। যথাযথ ইনপুট পেলে নিজেদের বিশেষত্ব অনুযায়ী প্রসেস করে আউটপুটে পাঠিয়ে দেয়। ইনপুট কোথা থেকে এল আর আউটপুট কোথায় গেল তা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। এই সকল কাজের প্রয়োজনীয় নিদের্শাবলী নিয়েই বায়োস গঠিত। পৃথক পৃথক ভাবে আপনার সিস্টেম কম্পোনেন্ট যত শক্তিশালীই হোক না কেন সঠিক বায়োস কোড ছাড়া তাদের পারফরমেন্সের কোন মূল্য নেই। এছাড়া সিস্টেম বুট হওয়ার পরই সকল কম্পোনেন্টকে কাজে লাগানোর জন্য আগে সিস্টেমকে জানাতে হবে তাদের উপস্থিতি এবং কার্যক্ষমতা (ত্রুটিহীনতা) সম্বন্ধে। এই দায়িত্বও বায়োসের। মোটকথা সিস্টেমের বুটআপ থেকে শুর" করে শেষ তত্ত্বাবধানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব বায়োসের।
সিস্টেমে বায়োসের ভুমিকা : আপনার সিস্টেমে বায়োসের ভুমিকা মূল প্রসেসরের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। সিস্টেম পাওয়ার আপের পর অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্য সবকিছুর আগে বায়োস কোডই লোড হয়। সঠিক বায়োস কনফিগারেশন ছাড়া আপনার সিস্টেম বুটই করবে না। আপনার সিস্টেম কার্যক্রমে বায়োসের ভুমিকাকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করে দেখতে পারি -
বুট আপ চেকিং - সিস্টেম পাওয়ার অন করার সাথে সাথে ইলেক্ট্রনিক সিগনাল পেয়ে বায়োস কাজ করা শুরু করে এবং প্রথমেই সে কম্পিউটারের সকল কম্পোনেন্ট টেস্ট করে নেয়। একে বলা হয় POST (Power on Self Test) এ সময় বায়োস সিস্টেমের মেমোরি, ভিডিও কার্ড, ডিস্ক কন্ট্রোলার, কিবোর্ড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট ঠিক মত কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করে। সব ঠিক থাকলে তা বিপ বোডের মাধ্যমে জানায় এবং সিস্টেমকে পরবর্তী কাজের জন্য একসেস দেয়। এছাড়া আধুনিক PnP বায়োস এর প¬াগ-ইন এডাপ্টার কার্ড সমূহের ইনিশিয়ালাইজেশন ও এ পর্যায়েই সম্পন্ন হয়। এ পর্যায়ে কোন ত্র"টি ধরা পড়লে তা বায়োস রুটিন বিপ কোড এবং মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে অবহিত করে এবং সিস্টেমকে বন্ধ করে দিয়ে নতুন কোন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
বুট-স্ট্র্যাপিং - চেকিং পর্যায় শেষে বায়োস বুটেবল ডিস্ক এবং অপারেটিং সিস্টেমকে খুঁজে বের করে এবং তার হাতে সিস্টেম কন্ট্রোল তুলে দিয়ে নিজের প্রত্যক্ষ দায়িত্ব শেষ করে। সিস্টেম বুট করার এই পর্যায়কে বলা হয় Boot-strap loader routine. বায়োস এর এই পর্যায়টাই শুধু আমরা মনিটরে দেখতে পাই (Starting MS-DOS বা Starting Windows98 এর মত বার্তা)।
অপারেটিং সিস্টেমের সহায়তাকারী - বুট ষ্ট্রাপিং পর্যায়ে বায়োসের প্রত্যক্ষ কাজ শেষ হলেও পরবর্তী পর্যায়ে এটি অপারেটিং সিস্টেমের পেছনে সহায়ক ভুমিকায় কাজ করেই চলে। বিভিন্ন সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামের চাহিদা অনুযায়ী বায়োস র"টিন বিভিন্ন সিস্টেম ফিচারের একসেস দেয়। যেমন বায়োস প্রসেসরকে বলে দেয় কিভাবে ভিডিও কার্ড বা হার্ডডিস্কের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং তথ্য আদান-প্রদান করতে হবে। এভাবে শুর" থেকে শেষ পর্যন্ত বায়োস কাজ করে যায় এবং সিস্টেম ইন্টিগ্রিটি বজায় রেখে তার কার্যক্রমকে গতিশীল ও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। বায়োসের গুর"ত্বপূর্ণ ভুমিকা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় বরং অপারেটিং সিস্টেমটিকেই বিশেষ করে চোখে পড়ে। কারণ একমাত্র অপারেটিং সিস্টেমই ব্যবহার কারীর সাথে সরাসরি এবং ভিজ্যুয়াল যোগাযোগ করে।
বায়োস ফিচারস - সিস্টেম সম্পর্কে বেসিক জ্ঞানটা থাকলে ছোটখাট ত্রুটি সফটওয়্যার সমস্যা আপনি নিজেই সারিয়ে নিতে পারবেন। এটা আপনাকে সিস্টেমের উপর কন্ট্রোল নিতে এবং আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে। নিম্মে বায়োসের গুর"ত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট সমুহ অলোচনা করা হলো -
প্লাগ এন্ড প্লে¬ (PnP) ফিচার - প্লাগ এন্ড প্লে ফিচার আধুনিক বায়োসের একটি গুর"ত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য বৈশিষ্ট। এই ফিচারসমূহ আপনার সিস্টেম বোর্ডের প্লাগ-ইন এডাপ্টার কার্ডের (ভিডিও কার্ড, ইন্টারনাল মডেম, সাইন্ড কার্ড ইত্যাদি) অটোমেটিক কনফিগারেশনে সাহায্য করে এবং ম্যানুয়ালি সিস্টেম রিসোর্স বরাদ্দ করার ঝামেলা থেকে আপনাকে বাচায়। সিস্টেমকে প্লাগ এন্ড প্লে কনসেপ্টের সম্পূর্ণ ফায়দা তুলতে হলে অপরেটিং সিস্টেম এবং কার্ডের পাশাপাশি সিস্টেম বায়োসকেও তা সাপোর্ট করতে হবে। PnP এক্সটেনশন ছাড়া আধুনিক বায়োসের কথা ভাবাই যায় না। তাই বায়োস সেটআপে এদের কন্ট্রোল আপনি পাবেন PnP /PCI Configuration Setup-Gi মত শিরোনামে । এতে অ্যাডাপ্টার কার্ড সমূহের অটোমেটিক বা ম্যানুয়াল কনফিগারেশনের অপশন রয়েছে। অটোমেটিক কনফিগারেশনে ঝামেলা হলে অথবা আপনার লিগ্যাসি বা Non-PnP কার্ড এবং PnP কার্ডের সহ অবস্থান বা কম্পাটিবিলিটি নিশ্চিত করার জন্য এই অপশন সমুহ ব্যবহার করা যেতে পারে।
পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ফিচার - শক্তি সাশ্রয়ের যুগে সব সিস্টেম বায়োসেই পাওয়ার ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা আছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট স্ট্যান্ডার্ড (EPM, Energy star specification, Green PC specification ইত্যাদি)। আপনার সিস্টেমে বিশেষ করে নোটবুক পিসিতে ও অবশ্যই পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি ঠিক করার প্রয়োজন রয়েছে। সঠিক পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট স্ক্রীম শুধু আপনার শক্তিই সাশ্রয় করবে না, তা আপনার সিস্টেম কম্পোনেন্টসমূহের কার্যকর আয়ুও বাড়িয়ে দিতে পারে। ষ্ট্যান্ডার্ড বায়োস Doze Mode, Stand by Mode এবং Suspend Mode এই তিন ধরনের পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট স্ক্রীম সাপোর্ট করে। এই স্ক্রীমগুলো কতখানি সময়ে কার্যকর হবে তা নির্ধারণ করার জন্য রয়েছে Minimum Saving, Maximum Saving, Optimized এবং User defined এর মত সেটিং। এক্সটেনসিভ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট (EPM) দ্বারা আপনার সিস্টেমের প্রায় প্রতিটি কম্পোনেন্টের (‡hgb, হার্ডডিস্ক, ভিজিএ কার্ড, ইত্যাদি) শক্তির ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারেন। বায়োসে এই ফিচার গুলো পাবেন Power Management Setup শিরোনামে।
সিকিউরিটি ফিচার - আপনার সিস্টেমকে অনাকাংখিত ব্যবহারকারীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সব বায়োসেই পাসওয়ার্ড প্রটেকশন বা সিকিউরিটি ফিচার থাকে। এই ফিচার দ্বারা আপনি শুধুমাত্র বায়োস সেটআপ প্রোগ্রাম কিংবা সিস্টেম ও বায়োস সেটআপ দুটোই অনুপ্রবেশকারীর হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন। এওয়ার্ড বায়োস সেটআপে এই ফিচার যথাক্রমে User password এবং Supervisor Password এই দুই শিরোনামে বিভক্ত থাকে। প্রথমটির সাহায্যে আপনি শুধুমাত্র সিস্টেমকে এবং পরেরটি দিয়ে সিস্টেম ও সেট আপ উভয়কে সুরক্ষিত করতে পারেন। সিস্টেম পাসওয়ার্ড প্রটেকটেড ফর্মে পাসওয়ার্ড যেন ভুলে না যান সেটা নিশ্চিত করবেন। কারণ সেক্ষেত্রে বায়োস মেমরি রিসেট করা ছাড়া সিস্টেম বা সেটআপে ঢোকার অন্য কোন উপায়ই থাকবে না। পাসওয়ার্ড সাধারণ case sensitive বলে পাসওয়ার্ডে অক্ষরগুলোর কেস (ছোট না বড় টাইপে লেখা) খেয়াল রাখা জরুরী।
অটো-কনফিগারেশন ফিচার - অটো কনফিগারেশন ফিচার ব্যবহারকারির হাতের অস্ত্র বিশেষ। এই ফিচার এনাবল করলে তা বায়োস সেট আপে ব্যবহারকারীর কাষ্টোমাইজ কৃত সকল ফ্যাক্টরি বা ডিফল্ট ভ্যালুগুলো লোড করে। বায়োস নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে আপনি যদি ভুল কনফিগারেশন বেছে নেন এবং সিস্টেমেই বুট করতে না পারে তবে আপনি এই ফিচার ব্যবহার করে তা সংশোধন করতে পারবেন। এওয়ার্ড বায়োসে (1) Auto-configuration with setup defaults (2) Auto configuration with BIOS/Power on defaults নামক অপশনে অটো কনফিগারেশন ফিচার থাকে। প্রথমটার কাজ রম থেকে স্ট্যান্ডার্ড মানগুলো লোড করা যা মোটামুটি সাধারণ কাজের জন্য অপটিমাম পারফরমেন্স নিশ্চিত করে। পরবর্তী অপশনটিকে এক ধরনের ডায়াগনোষ্টিক মোড বলা যায়। এটা সিস্টেমকে সবচেয়ে রক্ষণশীল সেটিং এ সেট করে। (সমস্ত হাই পারফরমেন্স ফিচার বন্ধ করে দিয়ে সিস্টেমের বুট আপ নিশ্চিত করাই হলো এর উদ্দেশ্য)। প্রথম অপশনটি যখন কাজ করে না তখন এটি ব্যবহার করা হয়। এখানে একটি ব্যতিক্রম বলে নেয়া ভাল - উভয় ক্ষেত্রেই Standard CMOS setup-Gi মানগুলো (হার্ড ডিস্ক স্পেসিফিকেশন, ভিডিও টাইপ ইত্যাদি) অপরিবর্তিত থাকে। এছাড়াও ব্যাটারি শেষ হয়ে বা অন্য কোন কারণে CMOS Memory মুছে গেলে নতুন করে বুট-আপের সময়ও সিস্টেম এই কনফিগারেশন (ব্যবহারকারির অনুমতি সাপেক্ষে) লোড করে। এসব মূল ফিচার ছাড়াও বায়োস ভেদে Virus warning, keyboard typing feature ইত্যাদি ফিচারও থাকতে পারে।
প্রশ্নোত্তরে বায়োস -
১. BIOS-ID String কি এবং এর তাৎপর্য কি? সিস্টেম বুট-আপের সময় BIOS শেষে প্রথম ডিসপে¬ স্ক্রীণের নীচের অংশ সংখ্যা ও অক্ষরের সমন্বয়ে যে লাইনটি দেখা যায় তাকেই BIOS Identification String বা সংক্ষেপে BIOS ID String বলে। এতে সাংকেতিক ভাবে বায়োস নির্মাতা, ভার্সন নাম্বার , ডেট, বায়োস ফিচার ইত্যদি সম্পর্কে তথ্য থাকে । এক কথায় এটা আপনার বায়োস চিপের সারাংশ এবং সংকেত জানা থাকলে বায়োস সেটআপে বা সিস্টেমে না ঢুকেও এ থেকে সিস্টেম বায়োস সম্বন্ধে ধারণা পেতে পারেন। সব তথ্যের মধ্যে বায়োস রিলিজ ডেট এবং ভার্সন নাম্বার আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন । এই তথ্য আপনার বায়োস কতখানি আপডেটেড সে সম্বন্ধে ধারণা দেবে। অন্যান্য তথ্য উদ্ধারের জন্য আপনাকে বায়োস ম্যানুয়াল এর সাহায্য নিতে হবে।
২. বায়োস কোড রাম চিপ থেকে লোড করা হয়, ডিস্ক থেকে নয় কেন? সিস্টেম বুট-আপে অন্য সব কিছুর আগে বায়োস কোডই লোড হয়। তাকে শুরুতেই সিস্টেমের সকল কম্পোনেন্ট সনাক্ত করতে হয়, তাদের ত্র"টিহীনতা সম্পর্কে পরীক্ষা করতে হয়। অন্য সব কম্পানেন্টের মত আপনার স্টোরেজ ডিভাইসকে ও কার্যক্ষম হওয়ার আগে সিস্টেমের স্বীকৃতি পেতে হবে। অর্থাৎ আপনার FDD/HDD কার্যক্ষম হওয়ার আগেই সিস্টেমের জন্য তার বায়োস কোড মোটামুটি সুনির্দিষ্ট। তাকে ডিস্কের সাধারণ ডাটার মত ঘন ঘন পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে না; বরং দুর্ঘটনাক্রমে বায়োস কোড পরিবর্তিত হয়ে গেলে সিস্টেমই হয়তো বুট করতে চাইবে না। এসব কারণেই বায়োস কোডকে রম-চিপ এ সংরক্ষন করা হয়।
৩. কিভাবে বায়োস মেমরি রিসেট করা সম্ভব ? নানা কারণে বায়োসের CMOS মেমরি রিসেট করার প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষ করে পাসওয়ার্ড প্রোটেক্টেড সিস্টেম বা সেট-আপ পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সেটাই একমাত্র রাসতা। কাজটা খুব সহজ। যেহেতু ব্যাটারী বায়োস রাম এর ডাটা ধরে রাখার শক্তি যোগায়, সেহেতু মূল লক্ষ্য হবে যে কোন উপায়ে ব্যাটারী কন্টাক্ট সরিয়ে নেয়া। একাধিক ভাবে সেটা হতে পারে। তবে সরাসরি ব্যাটারী না সরানোই ভালো বরং আপনার সিস্টেম বোর্ডে বায়োস ডাটা রিসেট করার যে বিশেষ জাম্পার রয়েছে সেটা (জাম্পার নম্বর জানতে আপনার সিস্টেমের সাথে আসা মাদারবোর্ড ম্যানুয়ালের সাহায্য নিন) ব্যবহার কর"ন।
৪. বায়োস আপগ্রেড করা যায় কি ? আগেই বলা হয়েছে আপনার সিস্টেম বায়োস মাদারবোর্ডে বিল্ট-ইন হিসাবে আসে এবং তা সুনির্দিষ্ট করে আপনার সিস্টেমের জন্যই র‌্যাম চিপে লেখা হয়। এই নির্দিষ্টতা এবং Read only chip বায়োস আপগ্রেডকে দুঃসাধ্য করে তোলে। এখানে আছে কম্পাটিবিলিটি। সহজলভ্যতা আর অনেক সমস্যা। যার ফলে বায়োস আপগ্রেড করা গেলেও ঝামেলার তুলনায় প্রাপ্তি খুব একটি লোভনীয় হয়না। তাই মূল বায়োস কোম্পানী যদি নির্দিষ্ট ভার্সনের উপর কাজ না করে থাকে এবং আপগ্রেডেড ভার্শন বাজারে সহজলভ্য না হয় তাহলে বায়োস আপগ্রেডের চেষ্টা অযৌক্তিক। ইদানীং Flash BIOS এর আবির্ভাব এই সমস্যাকে দুর করতে গুর"ত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে, তবে এর প্রচলন এখনও চোখ পড়ার মত নয়।
৫. Flash BIOS কি ? সাধারণ বায়োস রম হচ্ছে EP-ROM (Erasable Programmable)| এ থেকে সাধারণ ভাবে কেবল পড়াই যায়, তথ্য লেখা যায় না। তাই বিশেষ উপায় Ultraviolet Ray EP-ROM Writer ছাড়া এই বায়োস পরিবর্তনের কোন উপায় নেই। বায়োস চিপের আপডেট সহজ করতে EEP-ROM (Electrically Erasable Programmable ROM) নামের নতুন ধরনের রম চিপের প্রবর্তন করা হয়েছে যার ডাটা ইলেকট্রিকালী পরিবর্তন করা যায় এবং এটা বায়োস চিপের কোন স্থানান্তর করা ছাড়াই সম্ভব। এধরনের বায়োসেই Flash BIOS নামে পরিচিত। এতে বায়োস র্নিমাতা কোম্পানীর Update patch এর মাধ্যমে সহজেই বায়োস রমকে আপডেট, Bug fix, Enhancement ইত্যাদি করে নেয়া যায়। সহজে ডাটা করাপশনের ভয় থাকে বলে সাধারণ অবস্থায় একে বিশেষ জাম্পারের মাধ্যমে রাইট প্রোটেক্টেড রাখা হয়।
শেষ


পিসি বুটিং (ষ্টার্ট কমপিউটার) Booting of PC
কমপিউটার বুটিং অর্থাৎ কম্পিউটার যেভাবে কাজ শুরু করে
বায়োস বা মনিটর প্রোগ্রাম -
অপারেটিং সিস্টেম লোড -
যে প্রক্রিয়ায় কমপিউটার চালু হয় বা কাজ শুরু করে কাকে বুটিং বলে। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বুটিং ২ ধরনের -
• কোল্ড বুটিং- পাওয়ার সুইচ অন করার মাধ্যমে যখন কমপিউটার চালু করা হয়।
• ওয়ার্ম বুটিং- কমপিউটার চালু করার পর কোন কারনে মেশিন হ্যাঙ হয়ে গেলে বা ক্রাশ করলে রিসেট বাটন চেপে অথরা Alt+Ctrl+Delete বোতাম চেপে কমপিউটার চালু করা হলে ।
কমপিউটার বুটিং দুইটি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয় -
বায়োস (মনিটর প্রোগ্রাম) -
আপনি কম্পিউটারের অন সুইচটি পুশ করার পর কয়েক সেকেন্ড তেমন কিছুই ঘটে না। আসলে এ সময়ে পিসিটি এক সেট জটিল অপারেশনের মাধ্যমে চেক করতে থাকে যে, সবগুলো কম্পোনেন্ট ঠিকঠাক আছে কিনা। এই চেকিংটা হচেছ বুটআপ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। বুটআপের মাধ্যমে পিসির প্রতিটি কম্পোনেন্টকে ইলেকট্রিক্যালি সচল করা হয় যাতে অপারেটিং সিস্টেমটি ঠিকমত লোড হতে পারে। উলে¬খ্য ,অপারেটিং সিস্টেমের কাজ হচেছ পিসির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার যেন একই সমন্বয়ে কাজ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা। এ কাজটিকে পোস্ট (POST বা Power-On-Self-Test) বলা হয়। যখনই ডিসপ্লে, মেমরী, কী-বোর্ড বা অন্য কোন কম্পোনেন্ট ঠিকমত কাজ করতে ব্যর্থ হয় তখনই ডিসপ্লেতে (যদি সেটি ঠিক থাকে) সে অনুযায়ী সতর্ক বাণী ফুটে উঠে। অবশ্য ডিসপ্লেতেই সমস্যা হলে এ ধরনের মেসেজের পরিবর্তে বীপ বীপ আওয়াজ হতে থাকে। এখানে বলে রাখা ভাল যদি একটি বীপ আওয়াজ হয় এবং ডিসপ্লেতে ঠিক ঠিক মেসেজ আসতে থাকে তবে POST সাকসেসফুল বলা যেতে পারে। কিন্তু অন্য কোন ছোট ছোট বীপ বা দীর্ঘ সময় ধরে বীপ বীপ আওয়াজ হওয়া মানেই কোথাও একটা সমস্যা আছে। এমনকি কোন বীপ আওয়াজ না হওয়াটাও কিন্তু সমস্যা। মনে রাখবেন, POST পরীক্ষায় পাশ করা মানেই আপনার সব হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্ট এক কথায় চমৎকার তা কিন্তু নয়। এ পরীক্ষা কেবল সাধারণ কিছু সমস্যাকে চিহ্নিত করার জন্য। যেমন, আপনার হার্ডড্রাইভটি ইনস্টল করা না থাকলে বীপ মেসেজ আসবে কিন্তু হার্ডড্রাইভের ফরম্যাটে সমস্যা থাকলে POST কিন্তু সেটা ধরতে পারবে না। এবার দেখা যাক POST কিভাবে কাজ করে :-
প্রথম ধাপ - পিসিটি অন করা মাত্রই ইলেকট্রিক্যাল সিগনাল সরাসরি সিপিইউতে পোঁছে যায় এই সিগনালটি সিপিইউ-র ভেতরের মেমরি কাউন্টার নামের একটি রেজিস্টারের মান নির্দিষ্ট সংখ্যায় সেট করে দেয়। সাধারণতঃ F000 । উল্লেখ্য, সিপিইউ পরবর্তী মুহূর্তে যে ইন্সট্রাকশন বা কাজ সম্পন্ন করবে তার বাইনারি তথ্য মেমরির যে নির্দিষ্ট স্থান বা এড্রেসে জমা থাকে সেটিই প্রোগ্রাম কাউন্টারে লোড করা হয়। অর্থাৎ একটি কাজ লেখা হবার পর সিপিইউ, প্রোগ্রাম কাউন্টারে পরবর্তী যে মেমরি এড্রেসটি থাকবে সেখানে গিয়ে ঐ মেমরি এড্রেসে যে কাজটি করার নির্দেশ থাকবে ঠিক সেই কাজটি করবে। এখন POST এর ক্ষেত্রে F000 এড্রেসটি স্থায়ী মেমরিতে জমা বায়োস (Basic Input Output System) কে নির্দেশ করে। ফলে পরবর্তী কাজটি বায়োস থেকে শুরু হয়।
দ্বিতীয় ধাপ - বায়োস প্রোগ্রাম অনুযায়ী সিপিইউ POST চেকিং শুরু করে। প্রথমেই সিপিইউ নিজেকেই চেক করে এবং সিস্টেম বাসের মাধ্যমে সিগনাল পাঠানো শুরু করে। বাস হচেছ ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট যা পিসির বিভিন্ন কম্পোনেন্টকে সংযুক্ত করে। বাসের মাধ্যমে দেখে নেয়া হয় সব কম্পোনেন্ট ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা।
তৃতীয় ধাপ - সিপিইউ একই সঙ্গে সিস্টেম ক্লকটি চেক করে নেয়। পিসির প্রতিটি ফাংশন একটি নির্দিষ্ট ছন্দে একই লয়ে সম্পন্ন হয় এই সিস্টেম ক্লকের কারণে।
চতুর্থ ধাপ - এ ধাপে সিপিইউ র‌্যামের মাধ্যমে ডিসপ্লে এডাপ্টার কার্ডের মেমরি চেক করে। ডিসপ্লে এডাপ্টারের নিজস্ব যে বায়োস থাকে সেটাকে মূল পিসির বায়োসের সাথে মিলিয়ে নেয়া হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে পিসির মনিটরের স্ক্রীণে কিছু একটা ভেসে উঠতে দেখবেন।
পঞ্চম ধাপ - POST প্রক্রিয়ায় র‌্যামের প্রতিটি মেমরি চিপ পরীক্ষা করে দেখা হয়। সিপিইউ প্রতিটি মেমরি চিপে কিছু ডাটা লিখে, তারপর সেটিকে ঐ মেমরি চিপ থেকেই আবার পড়ে। এরপর সিপিইউ যে ডাটা মেমরিতে লিখেছিল (অর্থাৎ যে ডাটা মেমরিতে পাঠানো হয়েছিল) তার সাথে যে ডাটা পড়েছে (অর্থাৎ যে ডাটা মেমরি থেকে সিপিইউতে আসল) তা হুবহু মিলিয়ে নেয়। যে পরিমাণ মেমরি POST চেক করে তা ডিসপে¬তে ততক্ষণাৎ প্রদর্শিত হতে থাকে।
ষষ্ঠ ধাপ - সিপিইউ চেক করে দেখে যে কীবোর্ডটি ঠিকভাবে লাগানো আছে কিনা এবং কোন কী ভুলক্রমে প্রেস করা অবস্থায় আছে কিনা।
সপ্তম ধাপ - একইভাবে ফ্লপি ডিস্ক, সিডিরম প্রভৃতি প্রতিটি ড্রাইভে POST প্রক্রিয়ায় সিগন্যাল পাঠানো হয় এবং সিগন্যালের উত্তর শুনে ঐ ড্রাইভটি ঠিক আছে কিনা সে সম্পর্কে সিপিইউ নিশ্চিত হয়।
অষ্টম ধাপ - POST টেস্টে যেসব তথ্য পাওয়া যায় সেগুলোকে আবার CMOS (সিমস) চিপে পূর্বে রেকর্ডকৃত তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়। পিসিতে ইনস্টল করা প্রতিটি কম্পোনেন্ট সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যএই সিমসে জমা থাকে। সিমস হচেছ এক ধারনের মেমরি। যতক্ষণএর ব্যাটারি সচল থাকে ততক্ষণ এ মেমরী সজীব থাকে। অর্থাৎ পিসির পাওয়ার অফ করে দিলেও সিমস মেমরি প্রাণবন্ত থাকে। যে-কোন বেসিক সিস্টেম কনফিগারেশনের পরিবর্তন করতে হলে তা অবশ্যই সিমসকে জানিয়ে করতে হয়।
নবম ধাপ - কোন কোন পিসিতে বিভিন্ন ধরনের ডিস্ক কন্ট্রোলার কার্ড ব্যবহার করা হয়। এসব কন্ট্রোলারের নিজস্ব বায়োসে তথ্য থাকে। সিপিইউ এ ধরনের প্রতিটি কম্পোনেন্টের আলাদা আলাদা বায়োসকে একীভূত করে রমে রক্ষিত নিজস্ব বায়োসের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। এভাবে সব ধরনের এসিড টেস্ট করার পর সিপিইউ পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ অপারেটিং সিস্টেম লোডের দিকে এগিয়ে যায়।
অপারেটিং সিস্টেম লোড করা -
এবারে আসে অপারেটিং সিস্টেমের ব্যাপার। অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া আপনার কম্পিউটার কিছুই করতে পারবে না। যে কোন সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রাথমিক শর্ত প্রয়োজনীয় অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেমটি বুট ডিস্কে বা হার্ডডিস্কে জমা থাকে। সেখান থেকে র‌্যামে লোড হবার পর এটি রান করে। এতক্ষণ কম্পিউটার বুটআপ করতে যে সব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো কোন অপারেটিং সিস্টেম ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। অপারেটিং সিস্টেমটি কোন ড্রাইভে আছে সেটা বের করার পর সিপিইউ অপারেটিং সিস্টেম ফাইলগুলো পড়তে শুরু করে এবং সেগুলো র‌্যামে কপি করতে থাকে। ধাপ অনুযায়ী ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
প্রথম ধাপ - POST সম্পন্ন হবার পর পিসির রমে রক্ষিত বায়োস A: ড্রাইভে একটি ফরম্যাটেড ফ্লপি ডিস্কের খোঁজ করে। যদি ড্রাইভে ফ্লপিডিস্ক থাকে তবে বায়োস ঐ ডিস্কের নির্দিষ্ট যেখানে অপারেটিং সিস্টেমের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দুটি ফাইল থাকে তার খোঁজ করতে থাকে। সাধারণতঃ এই ফাইলগুলো IO.SYS এবং MSDOS.SYS নামে থাকে। যদি ফ্লপি ড্রাইভ ফাঁকা থাকে তবে বায়োস প্রোগ্রাম হার্ড ড্রাইভে নির্দিষ্ট ফাইল গুলোর খোঁজ করে।
দ্বিতীয় ধাপ - ফাইল দুটো পাবার পর বায়োস প্রোগ্রাম ফ্লপি বা হার্ডডিস্কের ১ম সেক্টর থেকে ডাটা পড়তে এবং র‌্যামে তা কপি করতে থাকে। এ তথ্য ডসের বুট রেকর্ড নামে পরিচিত। প্রতিটি ফরম্যাটেড ফ্লপিতে ঠিক একই জায়গায় বুট রেকর্ড রক্ষিত থাকে। এটি ৫১২ বাইটের হয়ে থাকে। বায়োস এই রেকর্ডটি র‌্যামের 7C00 এড্রেসে লোড করার পর পুরো প্রোগ্রামের কন্ট্রোল ঐ এড্রেসের বুট রেকর্ডের হাতে তুলে দেয়।
তৃতীয় ধাপ - বুট রেকর্ডে প্রোগ্রাম কন্ট্রোল আসার পর র‌্যামে IO.SYS ফাইলটি লোড হয়। IO.SYS ফাইল আবার রম বায়োসের জন্য কিছু নির্দেশ পাঠিয়ে দেয়। SYSINIT নামের একটি সাব-রুটিনের মাধ্যমে অবশিষ্টি কাজ সম্পন্ন হয়। IO.SYS লোড হবার পর র‌্যামে আর বুট রেকর্ড জমা রাখার প্রয়োজন পরে না।
চতুর্থ ধাপ - SYSINI সাব-রুটিনটি এ পর্যায়ে কন্ট্রোল গ্রহণ করে এবং MSDOS.SYS ফাইলটি রামে লোড করে। এই ফাইলটি রমের মূল বায়োসকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য ফাইল ম্যানেজ এবং প্রোগ্রাম এক্সিকিউট করে। এছাড়াও বিভিন্ন হার্ডওয়্যার থেকে সিগন্যাল আনা-নেয়া করে। এছাড়াও SYSINIT সাব-রুটিন CONFIG.SYS নামে ফাইলটি খুঁজে বের করে এবং MSDOS.SYS থেকে কন্ট্রোল CONFIG.SYS এ ট্রান্সফার করে। এ CONFIG ফাইলটি পিসি ব্যবহারকারীরা সাধারণতঃ তৈরি করে থাকেন। এতে বেসিক অপারেশন কিভাবে সম্পন্ন হবে সে সম্পর্কে অপারেটিং সিস্টেমকে কিছু নির্দেশ দেয়া হয়। যেমন এক সাথে মোট কতটি ফাইল ওপেন করা যাবে। বিভিন্ন ডিভাইস ড্রাইভার লোড করার নির্দেশও এতে থাকতে পারে। ডিভাইস ড্রাইভার হচেছ বায়োসের পরিধির বাইরের মেমরি বা কোন নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার ডিভাইস কন্ট্রোল করার উদ্দেশ্যে তৈরি এক ধরনের ফাইল।
পঞ্চম ধাপঃ এরপর SYSINIT সাব রুটিন MSDOS.SYS কে COMMAND. COM ফাইলটি লোড করতে বলে। এই ফাইলের তিনটি অংশ। প্রথম অংশটি মুল বায়োসের ইনপুট/ আউটপুট ফাংশনের এক্সটেনশন। এটা মেমরিতে মূল বায়োসের পাশাপাশি লোড হয় এবং অপারেটিং সিস্টেমের অংশ হিসেবে কাজ করে।
ষষ্ট ধাপঃ COMMAND.COM এর দ্বিতীয় অংশে থাকে প্রাথমিক কিছু ডস কমান্ড যেমন DIR, COPY, TYPE প্রভৃতি। COMMAND.COM ফাইলটি র‌্যামের এমন জায়গায় লোড করা হয় যাতে কোন এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম পরবর্তীতে যে কোন সময় এটিকে ওভাররাইট করতে পারে।
সপ্তম ধাপঃ COMMAND.COM এর তৃতীয় অংশটি AUTOEXEC.BAT ফাইলটি খোঁজ করে। এ ফাইলটিও পিসি ব্যবহারকারী নিজে তৈরি করে নেন। এতে ডসের বেশ কিছু ব্যাচ ফাইল কমান্ড থাকে। এছাড়াও ব্যবহারকারী প্রতিবার কমপিউটার অন করার সাথে সাথে যেসব প্রোগ্রাম লোড করতে চান সেগুলোও এতে লিখে রাখতে পারেন (যেমন-মাউস ড্রাইভার)। হ্যাঁ, এবার পিসিটি আপনার ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

মন্তব্যসমূহ